1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে | Bastob Chitro24
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিজেপি ৪০০ পার করলে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে যাবে ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন বাজারভিত্তিক সুদহারে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের পারিবারিক সংগঠনের সন্ধান ১৩৯ উপজেলায় দলীয় প্রতীকহীন ভোট আজ সহিত্যিক মীর মোশাররফ স্কুলের প্রাচীর সংস্কার হচ্ছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ জারি গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসজনিত বিদায় অনুষ্ঠান রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্যাপ বিতরণ

সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানিয়েছেন, দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে। লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি।

মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফরিদপুর-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল কাদের আজাদের (এ. কে. আজাদ) তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।লোকসানি শিল্পপ্রতিষ্ঠান খাতে সরকার কত টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে ও ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার উপায় কী, আবদুল কাদের আজাদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, লোকসানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে বা ভর্তুকি থেকে বের হতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত শিল্পমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বিএসইসির অধীন গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড লোকসানে চলছে। বিএসএফআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ১৫টিই লোকসানি হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিসিআইসির অধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল), আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল), যমুনা ফার্টিলাজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি (জিপিএফপিএলসি), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল), বাংলাদেশ ইদুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফএল) এবং উসমানিয়া গ্লাসশীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউজিএসএফএল)।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন মেশিনারিজ সংস্থাপন, স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োগে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, পণ্যের বহুমুখীকরণ, পণ্যের বিপণনে ই-সপ প্রস্তুতসহ বিভাগীয় শহরে শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি, ইনহাউজ প্রশিক্ষণ/কর্মশালার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ই-কমার্স সাইট তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিএসএফআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তুকি থেকে বের হওয়াসহ লোকসান কমানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন ।

তিনি জানান, বিসিআইসির অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টিএসপিসিএল ও ডিএপিএফসিএল ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে টিএসপিসিএল এবং ডিএপিএফসিএল মোট ১ হাজার৭৭৭ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে। ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য সার কারখানাগুলোর প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আব্দুল কাদের আজাদের তারকাচিহ্নিত অপর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, ১৯৮৭ সালে ১৫ দশমিক ৬ একর জমিতে বাস্তবায়িত বিসিক শিল্পনগরী ফরিদপুরে ১০৭টি শিল্প প্লট রয়েছে। এসব প্লট ৪২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে অব্যবহৃত শিল্প প্লট নেই।

অচিরেই নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেব: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

একইদিন সংসদের বৈঠকে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল কাদের আজাদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও তাপদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কোথাও কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।

ফরিদপুর জেলা ও সদর উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত একই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ফরিদপুর জেলায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বর্তমানে ফরিদপুর জেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ২৬৯ মেগাওয়াট।

তিনি বলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ওজোপাডিকো কর্তৃক স্থাপিত বিতরণ ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৬৫৯টি এবং মোট ক্ষমতা ১১৪ দশমিক ৬৫ এমডিএ। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ৫৪ মেগাওয়াট এবং স্থাপিত বিতরণ ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে চাহিদা মোতাবেক সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে ফরিদপুর সদরের জনগণকে বৈদ্যুতিক লোডশেডিংসহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবল থেকে রক্ষার জন্য ওজোপাডিকো’র বাস্তবায়নাধীন ‘ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন’ প্রকল্পের আওতায় আরও ২৭টি বিতরণ ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
সুত্রঃসমকাল

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি