1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
৪ জন দিয়ে চলছে নীলফামারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, অপারেশন বন্ধ | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

৪ জন দিয়ে চলছে নীলফামারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, অপারেশন বন্ধ

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নীলফামারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মঞ্জুরীকৃত ৮ পদের বিপরীতে ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে চলছে কেন্দ্রটি। বাকি ৪ পদেই খালি পড়ে আছে। ফলে রোগীরা মাতৃকালীন সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত হচ্ছে।

শুন্য ৪ পদের মধ্যে মেডিকেল অফিসার (এ্যানেসথেসিয়া) একজন, ভিজিটর দুইজন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন। আর কর্মরত ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত আছেন মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক্যাল) একজন, ভিজিটর দুইজন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন।


ওই কেন্দ্রে ২০ শয্যার ওয়ার্ডে অপারেশনের জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। কিন্তু চিকিৎসক সংকটে সেটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার গর্ভবতী মায়েরা। এ্যানেসথেসিয়া (অজ্ঞান) এর চিকিৎসক না থাকায় সদর উপজেলার প্রায় চার লাখ মাতৃকালীন রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক্যাল) ডা. রোকসানা বেগম বলেন, ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ্যানেসথেসিয়ার পদটি ফাঁকা হয়। তখন থেকে গর্ভবতী মায়েদের অপারেশন বন্ধ আছে। এরমধ্যে প্রেষণে দু’একজন চিকিৎসক এলেও তারা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যায়।

এ্যানেসথেসিয়া না থাকায় প্রতিদিন ৪-৫ জন গর্ভবতীকে অপারেশনের জন্য বাহিরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেতে হয়। পাশাপাশি অকেজো হয়ে পড়ে আছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রোগীর স্বজনরা। অপরদিকে, লাভবান হচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকরা।
সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের রোজিনা বেগম (২৪) গত ১১ অক্টোবর চিকিৎসকের আল্ট্রাসনোগ্রাম রির্পোট অনুযায়ী ‘মাতৃ সদনে’ অপারেশনের জন্য গেলেও তাকে ফিরে আসতে হয়েছে। এ্যানেসথেসিয়া না থাকায় তার অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।

একই অবস্থা উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের গর্ভবতী শরিফা বেগম (৩০) এর। তিনি বলেন, ‘হামরা গরীব মানষি, টাকা-পয়সা না থাকায় সরকারি সেবা নিতে আসি। কিন্ত এখানে তিন বছর থাকি সিজার হয় না। এতো বড় হাসপাতাল অথচ ডাক্তার নাই।’ এ সময় দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকতা ডা. রোখসানা বেগম জানান, রোববার, সোমবার ও বুধবার গর্ভবতী চেকআপ করা হয়। আর বাকী তিনদিন সাধারণ রোগী দেখা হয়। সোমবার মহিলাদের স্থায়ী পদ্ধতি ও মঙ্গল-বুধবার ইমপ্ল্যান্ট পড়ার কাজ করতে হয়। আবার আউটডোরে (বর্হিবিভাগ) রোগী দেখা শেষ করে ইনডোরে নরমাল ডেলিভেরি করতে হয়। ফলে বর্হিবিভাগে রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এজন্য চিকিৎসক স্বল্পতাকে দায়ী করেন তিনি।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মোজাম্মেল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সমাধান করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি