সৌন্দর্যবর্ধনের নামে খুলে ফেলা হয় পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রীছাউনি। গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন স্টেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ পূর্বাঞ্চলের বেশকিছু রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে গত দুই মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রীছাউনি খোলা হয় রং করার উদ্দেশ্যে। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন স্টেশনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা।
যাত্রীদের এ প্রতিদিনের ভোগান্তি নিয়ে যেন কোনো মাথাব্যথা নেই মোল্লা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা।
স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রী মো. আল-আমিন বলেন, স্টেশনের যাত্রীছাউনি খোলার পর থেকে আমরা খুব কষ্টে আছি। কাজের কারণে প্রায়শই ঢাকা আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু যাত্রীছাউনির চালা না থাকায়, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমরা ট্রেনে আসা যাওয়া করি। এতে খুবই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। খোলা আকাশের নিচে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তিনি দ্রুত স্টেশনের ছাউনির চালা লাগিয়ে সংস্কারের দাবি জানান।
মো. মামুনুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, যাত্রীছাউনির চালা খুলে ফেলায় বৃষ্টি হলে যাত্রীরা খুব কষ্ট করে ট্রেনে উঠে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্টেশনের ছাউনির চালা লাগানোর দাবি জানান।
তবে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কাউকে স্টেশন এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এদিকে যাত্রী ভোগান্তির কথা স্বীকার করে স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্টেশনের যাত্রীছাউনি মেরামতের জন্য দুই মাস আগে খুলে রাখা হয়েছিল। ছাউনির টিনের রঙের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যাত্রীছাউনির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৪ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়াও মেইল ট্রেনে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পথে দৈনিক অন্তত সাড়ে ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। আর এই স্টেশন থেকে টিকিট বিক্রি বাবদ মাসে আয় হয় কোটি টাকা।