নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাসা ও ৩ গোডাউন পুড়ে গেছে। প্রাথমিক ক্ষতির পরিমাণ ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শহরের মুন্সিপাড়ায় কিছুক্ষণের মোড়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের উপবিভাগীয় কর্মকর্তা মো. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট তারাগঞ্জ,সৈয়দপুর ও নীলফামারী ইপিজেট।
পাশের বাসার লোকজন জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কায়সার হোসেনের বাসায় তার মেয়ে তিন্নি (১৮) বৈদ্যুতিক তারে আটকা পড়ে। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে বাঁচিয়ে নেয়। এ ঘটনার কিছু সময় পর পাশের শাহীনের বাসা থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তে ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে উকিলের বাসায়। সেখান থেকে আগুনের বিস্তার ঘটে একে একে মোট ৯টি বাসা পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসাগুলো ছিল সরকারি রেলওয়ে কোয়াটার। অবৈধ দখলদাররা এগুলোতে গড়ে তোলে ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা,মালামাল রাখার গোডাউন, তারপিন গোডাউন, কাপড়, সিলিন্ডার ও তেল জাতীয় কেমিকেল।
একটি সূত্র জানায়, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয় একটি বাসায়। সেখান থেকে পাশের বেশ কয়েকটি বাসা বিদ্যুতায়িত হয়। সকালে এ নিয়ে মহল্লায় চিল্লাচিল্লি হয়। ধারণা করা হচ্ছে ওই বাসা থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ফায়ার সার্ভিসের উপবিভাগীয় কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, সৈয়দপুর, তারাগঞ্জ ও উত্তরা ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এ জাতীয় আরো খবর..