রাশিয়া জেনেশুনে একটা নিষেধাজ্ঞা দেয়া জাহাজ পাঠিয়েছিল, যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়া জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সরঞ্জাম পাঠানো দুঃখজনক।
রাশিয়া জেনেশুনে এ ধরনের জাহাজ পাঠানোয় ঢাকা বিস্মিত। এরপর রাশিয়া নিষেধাজ্ঞামুক্ত জাহাজে বাংলাদেশের জন্য সরঞ্জাম পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক রয়েছে, এটা আশ্চর্যজনক যে, রাশিয়া একটি জাহাজের নাম পরিবর্তন করেছে। আমরা এটা আশা করি না। আমরা আশা করি, স্যাংশন নেই এমন জাহাজ পাঠাবে রাশিয়া। মস্কোকে স্যাংশন থাকা ৬৯টি জাহাজ বাদ দিয়ে অন্য জাহাজে উপকরণ পাঠাতে বলেছে ঢাকা। রাশিয়ার হাজারো জাহাজ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে কীভাবে আরও ভালো সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে কাজ করছে ঢাকা।
মিয়ানমার সীমান্তে হত্যা এবং গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। বাংলাদেশ তার সীমান্ত রক্ষা করে চলেছে। চীনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজটি নাম পরিবর্তন করে স্পার্টা রাখা হয়েছিল। মার্কিন দূতাবাস আপত্তি জানিয়েছিল যে, এই জাহাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন রয়েছে এবং বাংলাদেশে এই জাহাজ থেকে উপকরণ নামানো হলে ঢাকাকে জরিমানার মুখে পরতে হতে পারে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত গত ১৯ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ছেড়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’। প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।
ওইদিনই (১৬ জানুয়ারি) রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, উরসা মেজরের পরিবর্তে এখন অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানান।