রমেক হাসপাতালের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন বলেন, হাসপাতালে পরিচালক যোগদান করার পর থেকে কর্মচারীদের ওপর অন্যায়ভাবে বদলি-বহিষ্কার করেই আসছেন। কোনো কারণ ছাড়াই হয়রানি করছেন। কর্মচারীরা কোনো বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। কর্মচারীদের সঙ্গে কথা না বলে বের করে দেন। আমরা কর্মচারীরা বাধ্য হয়েই তার অবসরের দাবিতে নেমেছি।
তিনি যতদিন-না অপসারিত না হবেন, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
রমেকের ১৬-২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান যা শুরু করেছেন তা অমানবিক। তিনি যাচ্ছেতাই করছেন। তার ইচ্ছেমতো তিনি অফিসে আসেন। এসেই তিনি কার্যালয় বন্ধ করে দেন। সবসময় পুলিশ-আনসার সদস্যদের পাহারায় রেখে কর্মচারীদের থেকে দূরে থাকেন। আমরা আজ ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছি। যদি তাকে দ্রুত অপসারণ করা না, হয় আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
এদিন পরিচালক উপস্থিত না থাকায় কর্মচারীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।