আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, তারা কীভাবে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কি দেশ ও জনগণের জন্য ভালো কোনো কিছু করছে যার ফলে তারা তাদের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলবে, যে কারণে জনগণ তাদের দলকে আবার ক্ষমতায় বসাবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর। ওইদিনই নির্ধারিত হবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলটির আগামী তিন বছরের নেতৃত্ব।
রীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের নিয়ে বিদায়ী বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ প্রধান। বৈঠকের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন যা সবাই মেনে নিয়েছিল সে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। ওই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সে নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছিল এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রহসনমূলক হ্যাঁ/না ভোট এবং সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছিল যাতে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। দেশের মানুষ ভোট কারচুপি কখনো মেনে নেয়নি বলেই নির্বাচনের দেড় মাসের মধ্যে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি ১ কোটি ২৩ লাখ জাল ভোটারের তালিকা তৈরি করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়াস চালালে তা বাতিল করা হয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসে।