মাদারীপুরে ১৪ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব ছিলারচর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার বাবুল সরদার সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই প্রতিবন্ধী তরুণী তার পরিবারের সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের বাসায় ভাড়া থাকত। মা একটি স্কুলে অফিস সহায়কের কাজ করেন এবং বাবা দিনমজুর। এই দম্পতির মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বাসায় রেখে বাবা-মা দুজনেই কাজে যেতেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার ওই তরুণীর ঘরে যায়। পরে ঘর একা পেয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যায় তরুণীর মা-বাবা বাড়িতে এলে বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতেই নিযার্তনের শিকার ওই তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পরদিন তরুণীর মা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় বাবুল সরদারকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাবুল সরদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাবা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদার আমার স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে ভয় দেখান। কিন্তু আমরা তার কথা শুনিনি। আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমি তার বিচার চাই। কোনো আপস চাই না।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বাবুল সরদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে ধরতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হয়। সবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।