1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
নতুন ভবন নির্মাণে বিলম্ব, মাঠেই চলছে পাঠদান | Bastob Chitro24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন

নতুন ভবন নির্মাণে বিলম্ব, মাঠেই চলছে পাঠদান

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

নীলফামারীর কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবনের ১৮ মাসের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ৪৪ মাসেও। শ্রেণিকক্ষের অভাবে এখন খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। তবে বরাদ্দের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের।

সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষ না থাকায় খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। নির্মাণাধীন ভবনের দুই পাশে শিডিউল করে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরের কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসার নতুন চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ। কার্যাদেশ অনুযায়ী পরের বছর ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও হয়নি প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ। বাধ্য হয়ে মাঠেই নিতে হচ্ছে ক্লাস। রোদ-বৃষ্টি, এমনকি চলতি মৌসুমের তীব্র শীতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। মাদ্রাসাটির পুরাতন ভবনটিও জরাজীর্ণ।

দশম শ্রেণির ছাত্র রুবেল ইসলাম, লামিয়া আক্তার, নবম শ্রেণির ছাত্রী আফিবা আক্তার, লানু আক্তার ও সুমন ইসলাম জানায়, শ্রেণিকক্ষের অভাব ও জরাজীর্ণ ভবনের কারণে চরম কষ্টে তাদের পড়াশোনা চলছে। শীত, ঝড়-বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ সময় তাদের নিয়মিত পড়াশোনা ব্যাহত হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম ও রিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা যেভাবে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি, তা একেবারেই অমানবিক। শ্রেণিকক্ষের অভাবে এক রুমে গাদাগাদি করে ক্লাস নেয়া ছাড়াও খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে।’

কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোছা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তারা নির্মাণকাজ শেষ করছে না। তা ছাড়া এ ব্যাপারে আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর নীলফামারীর প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।’

১৮ মাসের কাজ শেষ হয়নি ৪৪ মাসেও। এ বিষয় বরাদ্দ সংকট ও নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বরাদ্দ সংকট ও নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। তবে বরাদ্দ পেলেই দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করব।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহীনূর ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’ তবে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও বরাদ্দের অভাবের কথা স্বীকার করেন তিনি।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক রয়েছেন ১৩ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি