তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু কেউ কাউকে তো কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। তাদের কাছে বারবার ছুটে গিয়ে বিএনপি নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, তারা এভাবে ছুটে যায় বলেই কূটনীতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়।
ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। তাদের কাছে বারবার ছুটে গিয়ে বিএনপি নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে। তারা এভাবে ছুটে যায় বলেই কূটনীতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়।
তিনি জানান, যখন বিদেশি কূটনীতিকরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলেন, তখন দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমি মনে করি এটি হস্তক্ষেপ হয়ে যায়। এটি হওয়া উচিত নয়।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে জায়গা দেয়া হয়েছে। বিএনপি পুলিশের সাথে বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জায়গা হিসেবে চেয়েছিল। সে ভাবেই তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হলো, কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে যেতে তাদের অনীহা। কিন্তু কেন?
তিনি বলেন, যেখানে বাংলাদেশের সব বড় বড় জনসভা হয়েছে, যে ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে তারাও অতীতে বড় বড় সমাবেশ করেছে। আর আমরা তো নিয়মিতই (সমাবেশ) করি। সেখানে তাদের যেতে এত অনীহা কেন?
তার মতে, তারা (বিএনপি) রাস্তায় শুধু জনসভা করতে চায়, গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করতে চায়, জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়। নাগরিকরাও রাস্তায় সভা করার বিপক্ষে। কিন্তু তারা রাস্তার বদলে রাস্তা চেয়ে বেড়াচ্ছে। এটি তো কোনোভাবেই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না।
মন্ত্রী জানান, মাঠের বিকল্প হিসেবে তারা আরেকটি মাঠের কথা বলতে পারে। সেটা বলে না। বলে এ রাস্তা না-হলে ও-রাস্তা।
‘তারা যে বলছে, অন্য রাস্তা বা মতিঝিলের রাস্তা। মতিঝিল ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। এটা কেন তাদের এতো পছন্দ? যেখানে অনেক ব্যাংক-বীমা আছে, অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে। এটা কেন তাদের এতো পছন্দ। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে।’
প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কোনো জনসভা করতে চায় না বলে জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তারা এটিকে ইস্যু বানাতে চায় এবং দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টায় আছে। আমাদের সরকার দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে দেবে না। আমাদের দলেরও কর্তব্য আছে। কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে আমাদের দলের নেতকর্মীরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশের মালিক জনগণ। এদেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না-সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার সুযোগ নেই।
‘আগুন সন্ত্রাসীরা তো বিএনপির নেতাকর্মী। এটি করার জন্য বিএনপি নেতারাই নির্দেশ ও অর্থ দিয়েছিল। এটির ভিডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তাদের হাতে আগুন ও মানুষের রক্ত লেগে আছে।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ব্যারিস্টার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা আছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।
এ জাতীয় আরো খবর..