1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
ট্রাফিক সার্জেন্টের সহায়তায় রাস্তায় সন্তান প্রসব! | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

ট্রাফিক সার্জেন্টের সহায়তায় রাস্তায় সন্তান প্রসব!

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

রাজধানী ব্যস্ততম এলাকা নতুন বাজারের ফুটপাতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন একটি রেস্টুরেন্টের নারীকর্মী। রাস্তায় বসে হঠাৎ প্রসব বেদনা ওঠায় সদ্য মা হওয়া নারী তখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছিলেন। কিন্তু এমন অবস্থায় তার পাশে দাঁড়ান একজন নারী পুলিশ সদস্য। তিনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মোর্শেদা।

অন্য একজন নারী কনস্টেবলকে নিয়ে খবর শুনেই ছুটে যান প্রসব বেদনায় কাতরানো নারীর কাছে। বাস কাউন্টারের ছাতা নিয়ে গড়ে তোলেন নিরাপদ বেষ্টনী। কিছু সময় পর স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নেয় ফুটফুটে শিশু।

শুধু তাই নয়, সন্তান জন্ম নেয়ার পর নাড়ি কাটা নিয়ে জটিলতায় এই সার্জেন্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে ওই নারীকে সন্তানসহ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে নতুন বাজার এলাকায়। পুলিশের গুলশান ট্রাফিক বিভাগের এডিসি হাফিজুর রহমান রিয়েল তার ফেসবুকে কয়েকটি ছবিসহ এমন তথ্য পোস্ট করেন। মুহূর্তেই এটি ভাইরাল হয়ে যায়। একজন নারীর পাশে এভাবে ছুটে যাওয়ার জন্য সবাই সার্জেন্ট মোর্শেদাকে ধন্যবাদ জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান রিয়েল তার পোস্টে লিখেছেন, প্রতিদিনের মতো ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন সার্জেন্ট মোর্শেদা। দায়িত্বরত অবস্থায় ঢাকার চাকা পরিবহন কাউন্টারের একজন স্টাফ তাকে বলেন, ‘পাশেই একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

এ কথা শোনার পর একটুও দেরি না করে তিনি দ্রুত ট্রাফিক কনস্টেবল তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সেই নারীর প্রসব ব্যথা উঠছে। তিনি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তার পাশে মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।

আশপাশে কোনো ভবনও ছিল না যন্ত্রণাকাতর ওই নারীকে নেয়ার মতো। এ অবস্থা দেখে সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কনস্টেবল তানিয়া দ্রুত বাস কাউন্টার থেকে কয়েকটি ছাতা নিয়ে আসেন।

এ সময় চারপাশ ঘিরে দিয়ে এবং ওই নারীকে বাচ্চা প্রসবে সহযোগিতা করেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ফুটফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়। কিন্তু তখনও নবজাতকের নাড়ি কাটা হয়নি। সার্জেন্ট মোর্শেদা ৯৯৯-এ কল করে দ্রুত একটা ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স এনে নবজাতকসহ প্রসূতি মাকে নিকটস্থ উপশম হসপিটালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ওই হাসপাতালে নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।

হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, এরকম মহানুভবতা ও ভালো কাজের জন্য সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কনস্টেবল তানিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট মোর্শেদা বলেন, আমি সড়কের যানজট কমানো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে এক ব্যক্তি এসে জানালো নতুন বাজারে ফুটওভার ব্রিজের নিচে একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। আমি দ্রুত ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে তার কাছে যাই। যাওয়ার পর তাকে আগলে ধরি। এক পথচারী নারীকে সহায়তা করতে অনুরোধ করি। অল্প সময়ের মধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যায়। পরে আমি অ্যাম্বুলেন্স কল করে পাশের উপশম হেলথ পয়েন্টে পাঠাই। আমিও মোটরসাইকেলে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে যাই। বর্তমানে দুজনই সুস্থ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি