নরসিংদীর রায়পুরায় কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: নরসিংদীর রায়পুরা থানার শেরপুর পশ্চিম পাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে মো. রহমত উল্লাহ (৩২) ও একই থানার শেরপুর কান্দাপাড়ার লুৎফর ওরফে লুৎফর মাস্টারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে ভুট্টো (১৮)।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, গত ৫ ডিসেম্বর রায়পুরার শেরপুরে কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর গত বুধবার রায়পুরা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শেরপুর পশ্চিম পাড়ার মিল্লাত হোসেন বাইজিদ ওরফে কামরুল (১৮) ও শেরপুর কান্দাপাড়ার কাউসারকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তারা অনলাইন জুয়া খেলার টাকা লেনদেনের বিরোধ ও নারীঘটিত বিষয়ের জেরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে পুলিশকে জানায়। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্যমতে রোববার কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় জোড়া খুনের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী মো. রহমত উল্লাহ ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে ভুট্টোকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের দেখানোমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি রক্তমাখা জ্যাকেট ও একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় মোট ছয়জন জড়িত বলে জানান তারা। পরে রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে রায়পুরার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে দুজনের মুখমণ্ডল বিকৃত করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দুটি রায়পুরা থানার লোচনপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী হোসেন (৪৫) ও শিবপুর থানার পাহাড় ফুলদী এলাকার মো. দ্বীন ইসলামের (৩৪) বলে শনাক্ত করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..