দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর রাতে মাঠপর্যায় থেকে বিজয়ী চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৩ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা ৯টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একটি জেলায় নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এবং চাঁদপুরে দু’জন প্রার্থী থাকায় কাউকে সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এখানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওচমান গনি পাটওয়ারী।
বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সাতক্ষীরায় মো. নজরুল ইসলাম, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, নেত্রকোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার, রাজবাড়ীতে এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিউদ্দিন, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান মনজু, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন মোল্লা, গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, নীলফামারীতে অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, জয়পুরহাটে অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম, নড়াইলে অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, ময়মনসিংহে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, কিশোরগঞ্জে অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রামে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান এবং বগুড়ায় ডা.মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া ২৫ জেলায় চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত জেলা হলো: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, ভোলা, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, পাবনা, নওগাঁ, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত স্থগিত করেছেন।
এদিকে ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। এ নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। এতে ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি।
গত ২৩ আগস্ট দেশের দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়।