পুরান ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের আরেক সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিমউদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মাহমুদ আলম। তিনি ঘটনার দিন ঢাকার সিএমএম কোর্ট হাজতখানার ডিউটি বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন।
উপকমিশনার জসীম বলেন, ঘটনার ১০ দিন পর মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মাহমুদ আলম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জঙ্গি ছিনিয়ে নিতে বাধা দিতে গিয়ে আহত এক কনস্টেবলও রয়েছেন।
জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরদিনই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারা হলেন- ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।
এর কয়েকদিন পর জঙ্গিদের হামলায় আহত কনস্টেবল নূরে আজাদ এবং কনস্টেবল জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।
এরপর তাদের গ্রেফতার করতে ঢাকাজুড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।