পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় করা মামলার ১০ আসামিকে আরও পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন এ আদেশ দেন।
ডিএমপির অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশ্রাব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১০ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে আদালতে আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আবদুল্লাহ, আবদুর সবুর এবং রশিদ উন্নবী ভূঁইয়া।
এছাড়া এই মামলায় গত ২৭ নভেম্বর ইদি আমিন নামে এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ২৯ নভেম্বর ইদি আমিনের তিন আত্মীয়ের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন—খোদেজা আক্তার, নাসির মিয়া ও তানভীর হোসেন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে ইদি আমিনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নেয়া দুজন হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগ এলাকার আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে ফয়সল আরেফিন দীপনকে ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।