বাজারে সংকটের মধ্যেই চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণে মজুত করা চিনি জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়। নগরীর হালিশহরে ৫০০ বস্তা চিনি মজুত করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি।
চট্টগ্রামের হালিশহরের সততা ট্রেডার্স ৯০ টাকা কেজি দরে এক মাস আগে কারখানা থেকে এসব চিনি কিনেছিল। দাম বাড়ার পর সেই চিনি তারা পাইকারিতে ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা দরে বিক্রি করছে।
৫০ কেজি ওজনের বস্তার গায়ে লেখা ৪ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি চিনি দাম পড়ে ৯০ টাকা। কিন্তু মূল্য তালিকায় আছে ১১০ টাকা। যদিও সরকার গত ১৮ নভেম্বর চিনির খুচরা মূল্য ১০২ টাকা বেঁধে দেয়।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযাগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার। চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহন বলেন, এ দোকানের মালিক আগের কেনা ৪ হাজার ৫০০ টাকা বস্তার চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিলেন। এক কেজি চিনির দাম ৯০ টাকা হওয়ার কথা; তিনি তা ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি ভাউচার না নিয়ে ব্যবসা করেন, মানে ভবিষ্যতেও তার এমন করার ইচ্ছা আছে।
ভোক্তা অধিকার জানায়, কারখানা থেকে ডিলাররা ডিও কেটে রেখেও ছাড় নেন না। দাম বাড়লেই বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে কারখানা থেকে আগের কেনা চিনি গুদামে তুলেন ডিলার ও পাইকাররা।
সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান বলেন, এই বিক্রেতা যদি পাইকারিতেই এত টাকায় বিক্রি করেন, তাহলে খুচরাতে যেয়ে তো দাম আরও বেড়ে যাবে। এ ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে যে বাজার কারসাজি করছিলেন তার বিরুদ্ধে আজ সতর্ক করা হয়েছে।
তবে পাইকারি বিক্রেতা বলছেন, ডিলাররা ভাউচার দেন না। এসময় তিনি পাইকারদের ওপর দায় চাপালেন।
তিনি বলেন, ডিলাররা আমাদের ভাউচার দেন না। তারা আগে আমাদের থেকে টাকা নেন, তারপর চিনি সরবরাহ করেন।
উল্লেখ্য, অভিযানকালে গুদামে ৩০ মেট্রিক টন ওজনের ৫০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার।