নীলফামারীতে আজ ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৪০ মিটার। আবহাওয়া অফিস জানায়, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
নীলফামারীর বেসরকারি অফিসে কর্মরত সম্পদ সাহা বলেন, কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে। কুয়াশায় ৪০ মিটার দূরের কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরগতিতে আসতে গিয়ে অফিসে সময়মতো আসা সম্ভব হচ্ছে না। এখন গায়ের পোশাক ভিজে যাওয়ায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শ্রমিক বাদশা মিয়া বলেন, সকাল থেকে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। আকাশও ছিল মেঘাছন্ন। ফলে সূর্যের দেখা মিললেও থাকছে না তাতে গরমের তীব্রতা। শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে নীলফামারী জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।’
এদিকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৪০ থেকে ৬০ মিটার। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ মিটার। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাই দৃষ্টিসীমা কম থাকায় শীতকালীন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে কোনো ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। এর ফলে ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই শৈত্যপ্রবাহ আর দু-একদিন থাকতে পারে।