রমজানের আগেই খুলনায় বেড়েছে প্রায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরুর মাংস, মুরগি, চিনি ও ডালের। দাম বাড়ার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১১ মার্চ) খুলনার নিরালা বাজার, গল্লামারী বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, দোলখোলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। কেউ কেউ একটু বাড়িয়ে ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি করছেন গরুর মাংস। খুলনায় গরুর মাংসের সবচেয়ে বড় বাজার ময়লাপোতা। এখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে বেশি দামে গরু কিনে বিক্রি করতে গেলে ৭০০ টাকার কমে সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, সামনে রমজান। তার পরই কোরবানির ঈদ। খামারিরা দুই ঈদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। সারা বছর যে খরচ হয় সেটি এ দুই ঈদে পুষিয়ে নেন তারা। খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ৬০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক মাস আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। ২৩০ টাকার লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়।
সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশী মুরগি ৪৭০ টাকা, রাজাহাঁস ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাতি হাঁস ৩০০ টাকা, চিনা হাঁস ৪৮০ থেকে ৪৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুলনা পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এসএম সোহরাব হোসেন বলেন, আগে যেখানে একটি মুরগির বাচ্চা ৮-১০ টাকায় পাওয়া যেত এখন সে বাচ্চা কিনতে হয় ৫৫-৫৮ টাকায়। খাবারের দাম আগে ছিল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
এখন সেই খাবারের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। ফলে বাজারে মুরগীর দাম বেড়েছে। খুলনার বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। বড় বাজারে এক কেজি সাদা চিনি ১১২ টাকা, ছোট বাজারগুলোতে সেই একই চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশী মসুর ডাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর আমদানি করা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বলেন, টিসিবির পণ্য দেওয়া বন্ধ থাকায় চিনি ও ডালের দাম বেড়েছে।
টিসিবি পণ্য দেওয়া শুরু করলে পণ্যের দাম কিছুটা কমবে। টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা নান্টু জানান, বাজারে চিংড়ি ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকায়, রুই মাছ (এক কেজি সাইজ) ২৮০ টাকা, একই দরে বিক্রি হচ্ছে কাতলা ও মৃগেল মাছ। পাঙাশ ১৮০-৩০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩৫০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০ টাকা, মাগুর মাছ ৪০০ টাকা ও সাগরের নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৮০ টাকায়।