কুষ্টিয়া গড়াই নদী থেকে শাখা বের হয়ে কালিগঙ্গা নদীর উৎসমুখ এখন বন্ধ হওয়ার পথে। নদীটি হারিয়েছে তার নাব্যতা।
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান এর পাশ দিয়ে গড়াই থেকে এর উৎপত্তিস্থল । এখন মাত্র ১০ ফুট চিকন পথ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গড়াই থেকে কালিগঙ্গার নদীট- ছেউঁরিয়া মহাশ্মশান পয়েন্ট দিয়ে ঢুকে ঝিনাইদহ কুমার নদীতে পতিত হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য কুষ্টিয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার। ১৮৬২ সালে, জগতি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি এবং রেলপথ তৈরীর জন্য এই নদীটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে, আবার কুষ্টিয়া মহাশ্মশানের পাশ থেকে খনন করে কালিগঙ্গা শাখা পথটি খুলে দেয়া হয়। এলাকাবাসীর দাবী ,কালিগঙ্গা তার নব্যতা হারানোর কারণে -এখান থেকে অন্যান্য নদীগুলোও তার নাব্যতা হারাবে । কালিগঙ্গা নদী আবার ফিরে পাক তার গতিপথ । এ প্রসঙ্গে , নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি খলিলুর রহমান মজু তার বক্তব্য তুলে ধরেন।তিনি বলেন – চলমান নদীটি এখন বন্ধের পথে । গড়াই নদী হতে মহাশ্মশানের পাশ থেকে এর উৎসমুখ । পরবর্তীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে পুকুর খনন করে দুর্বৃত্তরা মাছ চাষ শুরু করে। যার ফলে নদীটির শাখা পথ বন্ধ হতে চলেছে।
তিনি আরো বলেন যদি এই নদীটির উপর থেকে ব্রিজ তৈরি করে তার নীচ দিয়ে কালিগঙ্গা নদীটি প্রবাহিত হয় বা কালিগঙ্গা নদীর পথটি সচল রাখা যায় তাহলে বাঁচবে নদীর জীববৈচিত্র্য ও সেই -সাথে কুমার নদীটি। যারফলে, খরস্রোতা নদীটি তার নাব্যতা ও গতিপথ ফিরে পাবে।