কূটনৈতিক পাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর বারিধারা এলাকায় পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে মেয়রের নির্দেশে চারটি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ কলাগাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
বুধবার(১১ জানুয়ারি) দুপুরে বারিধারা এলাকার ১১ নম্বর সড়কে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী এবং বারিধারা সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ওই সড়কের ৮০/ক, ৩, ৭ ও ১২ নম্বর বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ কলাগাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া ৭ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার (রক্ষণাবেক্ষণকারী) মো. জসীমকে আটক করে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানান, বারিধারা এলাকার ৫৫০টি বাড়িতে জরিপ চালিয়ে দেখা যায় মাত্র পাঁচটি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সঠিকভাবে দেয়া আছে। ২০৩টি বাড়ির সংযোগ আংশিকভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হলেও ৩৪২টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি খোলা নালা কিংবা লেকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার গুলশান-২ নম্বর এলাকায়ও এই অভিযান চালানো হয়েছিল। সেদিন দুটি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি অভিজাত এলাকায় যদি এমন চিত্র দেখতে হয়, তাহলে আর কী করার আছে? অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ খুবই দুঃখজনক। বারবার বলা হয়েছে সিটি করপোরেশনের খোলা নালায় পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেয়া যাবে না।