প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের হস্তক্ষেপে তারা এই অবরোধ তুলে নেন।
কুবির তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের বিচারের দাবিতে তারা বুধবার (৮ মার্চ) বিকাল ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি বেলতলী এলাকায় এ অবরোধ করেন।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মসজিদের সামনে মারধরের শিকার হন। এতে সাইদুল ইসলাম রোহানের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে যায়। অপর দুই ছাত্রলীগ নেতাও গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে হামলায় আহত সালমান সময় সংবাদকে জানান, দুপুরের দিকে আমি আল আমিন ভাইয়ের দোকানের সামনে এসেছি তখন আমাকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সেক্রেটারি বিপ্লব ডাক দিয়ে বলে তুই বহিষ্কৃত, তোর ক্যাম্পাসে কী? তখন অর্থনীতি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের কাওসার আমাকে ঘুষি মারে এবং আল আমিন ভাইয়ের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে আমার গায়ে, হাতে ও পায়ে আঘাত করে। এরপর আরেকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে সিএনজি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এনায়েত ভাইকে মাথায় আঘাত করার সময় আমার হাতে লেগে যায়।
প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি এবং দ্রুত পুলিশকে জানিয়েছি। যারা হামলা করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না।
পরবর্তীতে বিকাল ৫টায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান সময় সংবাদকে জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আমরা দ্রুতই গ্রেফতার করবো।
শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..