রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সদ্য মৃত ব্যক্তির নাম হাফেজ মুসা হায়দার (৪২)। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (৮ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ তলায় হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে (মেইল এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুসা হায়দার। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
নিহত মুসা হায়দার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের এমবি জামানের ছেলে। মুসা হায়দারের শ্বশুর মো. বাসেদ জানান, মুন্সিগঞ্জে মুসার ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে। মালামাল কেনার জন্য মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চাচাতো ভাই তারেককে সাথে নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন মুসা হায়দার।
মো. বাসেদ আরও জানান, এই দুর্ঘটনায় তারেকও মারা গেছেন। বিস্ফোরণে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন মুসা হায়দার। সেখান থেকে দগ্ধ ও আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর মুসা হায়দার নিজেই তার এক বন্ধুর নাম্বার বলার পর উদ্ধারকারীরা ওই বন্ধুকে ফোনে ঘটনাটি জানান। তখন ওই বন্ধু তার বাড়িতে খবর দেন। পরবর্তিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে তাকে দেখতে পান স্বজনরা। স্বজনরা জানান, ছয় ভাই-বোনের মধ্যে মুসা হায়দার তৃতীয়। মাত্র এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডে সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রথম বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন মারা যায়। নিহতরা হলেন: মুনসুর, আলামিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন, রাহাত, ওবায়দুল হাসান, নুরুল ইসলাম, হৃদয়, মাইনুদ্দিন, মমিনুল, নদী, আকুতি বেগম, ইসমাইল হোসেন, ইছহাক মৃধা, সুমন, আব্দুল হাকিম, হাফেজ মুসা হায়দার ও মমিনুদ্দিন সুমন। এ ছাড়া আরও দুজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।