প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার প্রিন্টিং প্রেসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ সময় মার্কেটের আলম ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ইদ্রিস নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আগুনে মো. ইদ্রিস নামে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা আরও হতাহতের শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ ঘটনায় ১০টি দোকান আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টায় প্রিন্টিং প্রেসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকান ও রাসায়নিক সরঞ্জাম থাকায় আগুন দ্রুত দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রিন্টিং প্রেস থেকে লাগা আগুন পিছনে টিভি, ফ্রিজ ঠিক করার দোকান, মুদি দোকানে ছড়িয়ে পরে। সেই সাথে পাশ্ববর্তী এ বি সার্জিক্যাল চারতলা ভবনেও ছড়িয়ে পরে।
আগুন লাগার পর প্রথমে এলাকাবাসী পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরিকল্পিত ভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকদের।
আন্দরকিল্লাহ এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী জানায়, আগুনের ঘটনায় আলম ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের দোকানে ঘুমিয়ে থাকা মো. ইদ্রিস নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার পর বের হতে না পারার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, রাত ১২টার পর মেটারনিটি হাসপাতালের পাশে একটি মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন পাশে থাকা প্রেসসহ একটি বহুতল ভবনে লেগে যায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সময় লাগে। পরে আরও একটি ইউনিট যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আব্দুল হালিম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রিন্টিং প্রেসের দোকানের পাশে কিছু রাসায়ানিক দ্রব্যের দোকান ছিল। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় ইদ্রিস নামে একজন মারা গেছে।
তিনি জানান, পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে তদন্ত করে দেখা হবে কি কারণে আগুন লেগেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রথমে আন্দরকিল্লার সমবায় মার্কেটে আগুন লাগে। সেখান থেকে আশপাশের তিন-চারটি প্রিন্টিং প্রেসসহ পাশের চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।