লক্ষ্মীপুরের মান্দারীতে রিয়াজ হোসেন নামে এক ফার্নিচার কারিগরকে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরকীয়া সন্দেহে তারা রিয়াজকে হত্যা করেছে।
এর আগে তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে ও চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, কাউছার ও ভিকটিম রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছে। এ সুযোগে কাউছারের বাসায় তার আসা-যাওয়া ছিল। এতে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরমধ্যে কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি অভিযুক্ত রাকিবকে কাউছার জানায়। এতে তারা রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে কল করে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় কাউছার তাকে ডেকে নেয়। দ ‘মাস আগে তারা দুজন ওই বাসা ভাড়া নেয়। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। পরে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগিতা চায়। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করে।
পরে র্যাব-৭ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করে। তাদেরকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাবের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।