মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সরফদিনগর স্কুলের শিক্ষার্থী বৃষ্টিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় আবুল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
মামালার বিবরণের জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তারকে একই পাড়ার বখাটে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবুল হোসেন বৃষ্টির বাড়িতে গিয়ে পানি চায়। তখন বাড়িতে বৃষ্টিকে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয় ও বিয়ে করতে রাজি হতে বলে। বৃষ্টি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘরে ঢুকে বৃষ্টিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় বৃষ্টির চিৎকারে আশপাশের মানুষ আসার আগেই সে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে বৃষ্টিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহতের মা আকলিমা বেগম ওইদিন রাতেই হরিরামপুর থানায় আবুল হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ে করেন। এ ঘটনার ৪ মাস পর পাবনা থেকে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আবুল হোসেন আদালতে বৃষ্টিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
নিহতের মা আকলিমা বেগম বলেন, ‘এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আবুল হোসেনের অতিদ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর হোক এটাই চাই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পিপি আবদুল সালাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিক বিচার পেয়েছে। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান আংগুর এ মামলায় বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।