যশোরের শার্শা উপজেলায় নিখোঁজের ৮ দিন পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কলেজপড়ুয়া জেসমিন আক্তার পিঙ্কির মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বুরুজবাগান গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রেমিক আহসান কবির রিঙ্কুকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বড় ভাই রমেল ও সৎ মা হোসনেয়ারাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহত জেসমিন আক্তার পিঙ্কি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পিঙ্কি ও রিঙ্কু যশোর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী ও সহপাঠী। কলেজ জীবন থেকে তাদের পরস্পরের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি দুইজনের পরিবারই জানতো। পিঙ্কি পড়াশোনার সুবিধার্থে যশোরে বাড়ি ভাড়া করে একাই থাকতো। গত ২ ফেব্রুয়ারি রিঙ্কু ফোন করে শার্শার বুরুজবাগান গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয় পিঙ্কিকে। এ সময় কোনো কারণে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে তথ্য গোপন রাখতে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। পরে তার এক বন্ধুর নম্বর থেকে নিজের নাম গোপন করে পিঙ্কির বাড়িতে ফোন দিয়ে জানায় তাদের মেয়েকে কে বা কারা ভারতে পাচার করে দিয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে পিঙ্কির পরিবার রিঙ্কুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু রিঙ্কু পিঙ্কির বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। তার কথায় সন্দেহ হলে পিঙ্কির বাবা জাকির হোসেন র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে র্যাব ফোনের সূত্র ধরে রিঙ্কুকে আটক করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে রিঙ্কুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পিঙ্কির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
জাকির হোসেন জানান, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার বিচার চান তিনি।
শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের বুরুজবাগান ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান শাহিন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
যশোর র্যাব-৬ কোম্পানি কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার ও হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। পিঙ্কি যশোর পলিটেকনিক কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং রিঙ্কু একই কলেজের ছাত্র। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে অবনতি হলে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..