কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় টাঙ্গাইলে যত্রতত্র ইটভাটা নির্মাণ করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে একদিকে পরিবেশ চরমভাবে হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার প্রভাব ফসলি জমিতে পড়ছে। পরিবেশ অধিদফতর বিষয়টি স্বীকার করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
টাঙ্গাইলের ভাটাগুলোতে প্রতিবছর অক্টোবর থেকে শুরু করে মে পর্যন্ত টানা চলে ইট তৈরির কাজ। একবার ভাটায় আগুন জ্বালালে আর নেভানো হয় না। বছরের সাত মাস ভাটায় কাঠ পুড়তে থাকে।
জানা গেছে, প্রতিদিন প্রতিটি ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে ৪০০ থেকে ৫০০ মণ কাঠ পোড়ে। ফলে ক্রমেই উজাড় হচ্ছে মধুপুর, সখীপুর ও ঘাটাইল বনাঞ্চলের গাছ। সংকুচিত হচ্ছে বনাঞ্চল।
এদিকে নিয়মানুযায়ী ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদফতরসহ বিভিন্ন বিভাগের ছাড়পত্র সংগ্রহ করে অনুমোদন সাপেক্ষে কয়লা পুড়িয়ে ইট প্রস্তুতের নির্দেশনা থাকলেও জেলার বেশির ভাগ ভাটাতেই কোনো কাগজপত্র নেই। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এসব ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুতের প্রতিযোগিতা চলছে। যার প্রভাব পড়ছে কৃষিজমি, পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার ধোঁয়ায় তাদের ক্ষেতের ফসল আগের মতো উৎপাদন হচ্ছে না। অন্যদিকে সবার ঠান্ডা, কাশি লেগেই থাকছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
তবে ভাটা মালিকদের দাবি, দেশে কয়লা সংকট এবং কয়লার দাম আগের তুলনায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বনের কাঠ পুড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে চেষ্টা করেও ভাটা অনুমোদনের ছাড়পত্র না পাওয়ায় অবৈধভাবেই ইট তৈরি করছে।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন জানান, জেলার বেশির ভাগ ভাটাতেই হালনাগাদ কাগজ নেই। দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলায় মোট ভাটার সংখ্যা ২২০টি। এর মধ্যে ১৫০টি অবৈধ।
এ জাতীয় আরো খবর..