মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় উত্তরের জনপথ পঞ্চগড়ে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো কুয়াশা ঝরছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে পরিবারের জন্য খাবার জোগাতে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছেন তারা।
এ ছাড়া ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকায় জেলার বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাসচালক আতিয়ার বলেন, হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তা-ঘাট দেখা যায় না। গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। তারপরও ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি।
ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আমিনার বলেন, ভ্যান নিয়ে সকালে বাড়ি থাকি বাহির হইছু। যাত্রী লা বাড়ি থাকি বের হছে না। হামরা ভাড়া পাই না। আয়-রোজগার কমি গেইছে। হামরা পরিবার নিয়া কষ্টত আছি।
মোটরসাইকেলচালক মিজানুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। মোটরবাইক চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। হাত-পা ঠান্ডা বরফের মতো হয়ে যাচ্ছে।
খালপাড়া মহল্লার রোজা আকতার বলেন, গত কয়েকদিন থেকে পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ির কাজকর্ম করা যায় না। কাজ করতে সমস্যা হয়।
এ দিকে পঞ্চগড়ে শিশু কিশোর থিয়েটারের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিম সময় সংবাদকে বলেন, পঞ্চগড়ে এবার বেশি শীত পড়ছে। প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন কোম্পানি শীতবস্ত্র দিয়ে থাকে। এ বছর বেসরকারি কোনো এনজিও কোম্পানি আসেনি। অনুরোধ করব দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দাতা সংস্থাগুলো যেন পঞ্চগড়ের অসহায় গরিবদের শীতবস্ত্র বিতরণ করে।
স্থানীয় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ সময় সংবাদকে জানান, গত কয়েকদিন থেকে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ জাতীয় আরো খবর..