রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্বর এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রাবি শিক্ষার্থী রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মণের ছেলে রাতুল কুমার বর্মণ। তিনি চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: রাজশাহী নগরীর রানীনগর হিন্দুপাড়ার শ্রী ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), একই এলাকার মৃত সুরে জামাল শেখের ছেলে পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীণ পাল রুদ্র (২০) ও একই এলাকার শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি রাতুলের সঙ্গে পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবন মোবাইল ফোনে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্বরে আসতে বলেন। রাতুল সেখানে গেলে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মণের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সঙ্গে কথা বলেন। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের বন্ধু দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে একতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি রুমে আটকে রাখেন এবং মারধর করেন।
এদিন রাত ৯টায় রাতুলের মোবাইল ফোন থেকে তার মাকে কল করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন পবন। এ সময় রাতুলের মা বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু মুক্তিপণের বাকি টাকার জন্য রাতুলকে অপহরণকারীরা শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
তখন বিষয়টি পুলিশকে জানায় রাতুলের পরিবার। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী পাঁচজনকে গ্রেফতার এবং রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় রাতুল বাদী হয়ে ওই পাঁচজনের নামে অপহরণ, মারধর ও টাকা আদায়ের অভিযোগে মামলা করেন। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..