নেত্রকোনার কলমাকান্দা শহরে পাহাড় দেখানোর কথা বলে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল মিয়া (৩৫) ও তার বন্ধু সেলিম মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে রাসেলকে শহরের মাছমহাল এলাকার নিজ বাড়ি ও তার বন্ধুকে মুক্তিরচর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার রাসেল কলমাকান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শহরের মাছ মহাল এলাকার মৃত টেপু মিয়ার ছেলে। বন্ধু সেলিম মিয়া উপজেলার মুক্তিরচর গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা শহরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাসেলের। গত ২২ নভেম্বর প্রেমিকাকে পাহাড় দেখানোর কথা বলে উপজেলার সীমান্তবর্তী পাতলাবন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যান রাসেল। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফেরার কথা বললেও নানা বাহানায় সময়ক্ষেপণ করা হয়। পরে রাসেল বন্ধু সেলিম মিয়া, সাইকুল মিয়া ও সুমন সাহাকে ডেকে আনেন। সব বন্ধু এলে নিরাপদে বাড়ি ফেরার কথা বলে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার একপর্যায়ে ওই তরুণীকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যান তারা। পরে সেখানে একে একে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে তরুণীকে ফেলে চলে যান তারা।
ঘণ্টাখানেক পর জ্ঞান ফিরলে ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বোনকে কল করে জানালে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দুদিন পর কলমাকান্দা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
এরপর ওই তরুণী বাদী হয়ে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলমাকান্দা থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দিলে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় মামলা রেকর্ড করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘থানায় কেউ আসেননি মামলা করতে। তারা আদালতে মামলা করেছেন। মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক। প্রেম ছিল। আমরা চার আসামির মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছি।’
আদালত থেকে আসামিরা জামিনে গিয়েছে নাকি কারাগারে এ বিষয়ে তিনি জানেন না বলেও জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..