দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
এর আগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে পুরো জেলায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। হিমেল বাতাস থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিশুসহ সব বয়সের মানুষজন ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রেন ও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৯৫ জন শিশুসহ সব বয়সের রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৪৫ জন রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ৫০ থেকে ৬০ জন আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু ভর্তি থাকে।
শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।