আজ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং সন্ধ্যায় জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবসে বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একডেমি প্রাঙ্গণে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ” আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদ ও রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলনী পরিষদ কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সংগঠক এবং আবৃত্তিকার আলম আরা জুঁই, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক শহিদুর রহমান রবি, শিল্পকলার যুগ্ম সম্পাদম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরকার, রোকেয়া পদক ২১ বিজয়ী, ঢাকাপ্রকাশের সহকারী সম্পাদক গবেষক ও লেখক ড. সারিয়া সুলতানা।
কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মিলিত সামাজিক জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পললের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং আইনজীবী সুরক্ষা আন্দোলন কুষ্টিয়া বার ইউনিটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান সুমন। আলোচকের বক্তব্যে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী আলম আরা জুঁই ও ড. সারিয়া সুলতানা বলেন, “নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে। চলচ্চিত্র এর একটি বড় মাধ্যম হিসেবে ইতিমধ্যে জগতজুড়ে পরীক্ষিত।
অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান সুমন শুভেচ্ছা বক্তব্যে কুষ্টিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ স্থাপনের দাবি জানান মাননীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট। এটি নির্মিত হলে স্বাধীনতার বিরাট কালো অধ্যায় ১৪ই ডিসেম্বর এ জাতির সূর্যসন্তানদের পরিকল্পিত হত্যার প্রকৃত ইতিহাস জানবে ও ধারন করবে তরুণ প্রজন্ম, এটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের কাম্য।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর ও কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির বারংবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আমিরুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুজন রহমান, কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক ও জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম সোহরাব খান। এছাড়াও উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রাশিদা রিতা, কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির জুনিয়র সদস্য ও আইনজীবী সুরক্ষা আন্দোলন কুষ্টিয়া বার ইউনিটের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট জমিরন খাতুন জেমি, শিক্ষানবিশ আইনজীবী রাশেদ আহমেদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন বাবলা, মোবারক হোসেন পান্না, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক এস. এস রুশদী, কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফায়েল হক অঙ্কন, সাংগঠনিক সম্পাদক অর্ঘ্য বিশ্বাস, সমন্বয়ক শৈবাল নন্দী হিমু, দপ্তর সম্পাদক পল্লব আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ কুষ্টিয়া ইউনিটের সংগঠক সুমাইয়া সিনস্থিয়া ও তারিফ মোস্তাফিজ সহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, সংগঠকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের ৩য় পর্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অত্যাধুনিক অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ” আগুনের পরশমণি ” এর প্রদর্শনী করা হয় কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে। কর্মসূচিতে কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার উপস্থিত সকলকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট পলল বলেন, ” স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এগিয়ে চলছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যুবসমাজে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির মাধ্যমে “