পিরোজপুরে নাজিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুপক্ষের গোলাগুলির অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নাজিরপুর উপজেলার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন স্থলে এ ঘটনা ঘটে।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি এবং পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের সমর্থকদের মধ্যে এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খালেক জানান, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি তারা (মন্ত্রী সমর্থক)। এরপরই বাইরে তাদের লোকজন মিছিল শুরু করে। এক পর্যায় তারা হামলা চালায়। হামলায় সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার সময় তারা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছে। এরপর তারা পিরোজপুর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়া গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
মজিবর রহমান খালেক সম্মেলনে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের বরাত দিয়ে জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা বার বার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর যেমন নিদের্শনা দিয়েছেন সেভাবেই সম্মেলন করা হচ্ছে। আপনারা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বাইরে মারামারি বন্ধ করেন।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূরে আলম শাহীন জানান, সম্মেলনের মাঠে দুপক্ষ মিছিল করছিল। এরমধ্যেই ওই পক্ষের একজন গুলি চালায় ও হামলা করে। হামলায় তাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, নাজিরপুরে সম্মেলনে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তবে গুলি ছোড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা প্ল্যাকার্ডে লাঠির আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..