1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সিলেটের পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

সিলেটের পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

বাস ধর্মঘট ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সুনামগঞ্জ থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী সিলেটের মহাসমাবেশে যোগদান করছেন।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১২টা দিরাই রাস্তার মোড় থেকে একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মী যাত্রা শুরু করেন।

উপজেলা থেকে জেলা সদরে আসার সময় চালবন পয়েন্ট চাঁদনীঘাট, আব্দুজ জহুর সেতু, হাছন তোরণ, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। জাতীয় ও দলীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে তারা সিলেটের মহাসমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
 
এদিকে যাত্রীবাহী বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধের কারণে সাধারণ মানুষ সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন। দ্বিগুণ, তিন গুণ ভাড়া দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করছেন।  শুক্রবার জেলা শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। আকস্মিক ধর্মঘটের বিষয় না জানায় যাত্রীরা পড়েন নানা সমস্যায়। বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকলে জেলার প্রধান সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সামছুজ্জামান বলেন, ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন শ্রমিক মালিক আর যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এতে সাধারণ মানুষ কষ্টে পড়েছেন।

জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগদান ঠেকাতে জেলা শহরের প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার জোর করে পরিবহন শ্রমিক মালিকদের বাধ্য করেছে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ করতে।

জেলা কৃষকদলের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, গত রাতে থেকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আজ (শুক্রবার) দুপুরের জনস্রোতের তোড়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি।
জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে নৌকায়, মোটরসাইকেলে, হেঁটে হাজার হাজার নেতাকর্মী সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থান নিয়েছে।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গ্যাস পাম্প বন্ধ রেখে সরকার গাড়িতে গ্যাস ভরতে দিচ্ছে না।

দোয়াবাজার উপজেলার যাত্রী সালমা খাতুন বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। এভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মানুষকে আরও বিপদে ফেলা হয়েছে।

দিরাইয়ের আবুল হোসেন বলেন, বাস চলাচল বন্ধের কারণে ভাড়া দ্বিগুণ তিন গুণ হয়েছে। মানুষ কয়েক বার ওঠানামা করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। গোবিনপুর গ্রামের সালু মিয়া বলেন, একে তো মহাসমাবেশ, অন্যদিকে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধের কারণে সরকার ও পরিবহন শ্রমিক মালিক রা তাদের প্রতি অন্যায় করেছেন।
 
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ এখন ছাত্রলীগের ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিটি পয়েন্টে প্রতিটি রাস্তায় পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে। শহরে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবস্থান নিয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের শান্তি নষ্ট করলে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি