দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বাস, লঞ্চ বন্ধ থাকলেও সকাল থেকেই সমাবেশস্থল নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে আসতে থাকেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। তাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন বাগেরহাট, যশোর, মোংলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা। পরিবহন ধর্মঘটে ২১ রুটের সঙ্গে খুলনার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে না লঞ্চও। সবধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন আসছেন সমাবেশে। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার-ফেস্টুন আর মিছিলে সমাগম বাড়ছে সমাবেশস্থলে।
এদিকে, রাতে যারা সামাবেশস্থলে পৌঁছেছেন তাদের সময় কেটেছে গল্প-আড্ডা, গান আর স্লোগানে। অনেকেই সময় কাটাতে ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন, সেলফি তুলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রাতে থাকার জন্য বালিশ-কাঁথা, চাদর সঙ্গে নিয়ে আসেন।
শুক্রবার রাত থেকেই ডাকবাংলা মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে শুরু হয়েছিল মঞ্চ তৈরির কাজ। সকাল ১০টার দিকে মঞ্চে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে থাকেন। পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাতে থাকেন।
এদিকে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা সেখানে পৌঁছালে দলীয় কর্মীরা স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান।