বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও যাহিদ হোসেন বলেন, যাত্রী পরিবহন ও রাজস্ব আয়ে রেকর্ড করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বলাকা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
যাহিদ হোসেন বলেন, আঞ্চলিক এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে সেবার মানের দিক থেকে সবার ওপরে আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত তিন মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৮ লাখ ৮০ হাজার ৪০ জন যাত্রী পরিবহন করেছে, যা বিমান বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। শুধু তাই নয়, রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও তা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এই তিন মাসে ১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বিমান। যার আগের রেকর্ড ছিল ৯৬২ কোটি টাকা।তিনি আরও বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বছরে তিন মিলিয়ন যাত্রী নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। যদি আমরা তিন মিলিয়ন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমাদের রাজস্বও অনেক বেড়ে যাবে। এর আগে বিমান বাংলাদেশ ২.৬ মিলিয়ন যাত্রীসেবা প্রদান করতে সক্ষমতা অর্জন করেছিল।’
যাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ যাত্রীসেবা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে সদা প্রস্তুত। যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে। আমরা বর্তমানে লোকবল বৃদ্ধি করছি৷ এতে বছরে ১৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার ফ্লাইট ক্যাপাসিটি আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারব।’
বিমানবন্দর ও বিমান নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় চড়া দামেও টিকিট পাওয়া যায় না। অথচ ফ্লাইটে ফাঁকা পড়ে থাকে বহু আসন। লাগেজ ব্যবস্থাপনাসহ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও তৈরি হওয়া অসন্তোষ দূর হয়নি আজও। মাস দেড়েক আগে বিমানবন্দরের গণশুনানিতেই এমন বহু অভিযোগ এসেছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এ ছাড়া দুদকে বিমানের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্ত করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
যাহিদ হোসেন বলেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সতর্ক। আর তা ছাড়া ফৌজদারি তদন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে আদালতে যে রায় আসবে আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করব। কেউ আমাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে আমরা সহযোগিতা করব।সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যদের লাগেজ থেকে ডলার-টাকা চুরির অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা গেলে তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বিমানের কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বিমান বাংলাদেশের ডাকা বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে এভিয়েশনের বেশ কিছু গণমাধ্যম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সে সময় দেশের বাহিরে ছিলাম। আমি দেশে থাকলে হয়তো এমনটা হতো না। ভবিষ্যতে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের আর পুনরাবৃত্তি হবে না। এ বিষয়ে আমরা সজাগ থাকব।