বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অবস্থিত বধ্যভূমির। এ সময় বধ্যভূমির মূল অংশের ওপর বাজ পড়ে। মুহূর্তেই ভেঙ্গে যায় বধ্যভূমির ব্যধির, কিছু মূর্তি ও পাকা দেয়াল। পুড়ে যায় সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যা করে পুতে রাখতো এ বধ্যভূমিতে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের ওপর অবস্থিত রেললাইনের পাশে লাল ব্রিজের দু‘পাশে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। রেল ব্রিজের দুপাশেই ট্রেন থামিয়ে নির্যাতন শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ এ বধ্যভূমিতে ফেলে রাখতো পাকবাহিনী।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে শুরু হয় বধ্যভূমি নির্মাণের প্রাথমিক কাজ। সে সময় জিকে ক্যানেলের ঢালে বসবাসকারী ছিন্নমূল কয়েকজন মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি করার সময় বহু হাড় মাটির নিচ থেকে বের হতে থাকে। পরে এ স্থানটি সংরক্ষণ করে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয় চুয়াডাঙ্গায়। বৃষ্টির সাথে প্রচণ্ড জোরে বজ্রপাত হতে থাকে। বজ্রপাতে ব্যাধির উপর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত কিছু দৃশ্য ভেঙ্গে যায়। এ সময় বধ্যভূমির ব্যাধির ওপর পাকা দেয়ালে ফাটল দেখা যায়। বধ্যভূমির মিউজিয়ামের ভেতর সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল পুড়ে যায়।