প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে অনেক কথা বলতে পারে, কিন্তু তৃণমূলের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করা হয়েছে তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। সরকার কাজ করেছে বলেই, মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করছে সরকার।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একসঙ্গে নবনির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় সারা দেশে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে, পার্বত্য অঞ্চলেও উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে আর কোনো মঙ্গা হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে আজ একসাথে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছটি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে এবং ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি সেতু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাতায়াতের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন ও সহজ করার পাশাপাশি সেতুগুলো দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।