1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
স্কুলছাত্রী নিখোঁজের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

স্কুলছাত্রী নিখোঁজের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

নোবাজ্জেল হোসেন নোবান
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের প্রিতম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ৭ বছর বয়সী ইন্তি খাতুন ক্লাস চলাকালীন নিখোঁজ হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় অভিযোগ করেন নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থী ইন্তি খাতুনের বাবা ইমদাদুল শেখ।

অভিযোগপত্রে মোঃ ইমদাদুল শেখ উল্লেখ করেন ১৭ই নভেম্বর গেল বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের ন্যায় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ইন্তি খাতুন বেলা ১১টার সময় স্কুলের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয় কিন্তু সে বাড়ি ফিরে না আসায় মেয়ের খোঁজ নিতে স্কুলে গেলে স্কুল থেকে জানানো হয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির এসে ইন্তি খাতুনকে নিয়ে গিয়েছে। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম জিজ্ঞাসা করলে প্রিতাম্বরবসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান সদুত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে সরেজমিনে কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের প্রিতম্বরবসী গ্রামে গেলে নিখোঁজ মোছাঃ ইন্তি খাতুনের পরিবার এবং এলাকাবাসী জানান ইন্তির তিন মাস বয়সে তার বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে মা তাকে ফেলে চলে যায় ।

এরপরে বাবা এবং দাদির কাছে মানুষ ইন্তি। বর্তমানে সে কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের প্রিতম্বরবসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। গেল বৃহস্পতিবার ১৭ই নভেম্বর স্কুল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে তুলে দেয়া হয় তাকে। স্থানীয়রা আরো জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির যেখানে কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা তা না করে নিজেরাই যদি অজ্ঞাত মানুষের হাতে শিশুদের তুলে দেয় অভিযোগ এর তীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা সুস্মিতা রানী রায়, ও অফিস সহকারী তৌহিদ উজ্জামান তৌহিদ এর দিকে ।

এই বিষয়ে কুমারখালী থানাতে অভিযোগ দায়ের করলেন ইন্তির বাবা ইমদাদুল শেখ। মামলা এন্ট্রি করতে কুমারখালী থানা পুলিশের গরি মুশি। এই অভিযোগের সত্যতা জানতে মুঠোফোনে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী তহিদ ইন্তিকে এক মহিলার হাতে তুলে দেন তিনি আরো জানান নৈশ পহরি এটা অন্যায় কাজ করেছেন।এটা অপহরণ কিনা জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ সদুত্তর দিতে পারেন নি। সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান ও সহকারী শিক্ষিকা সুস্মিতা রানী তাদের দায় এগিয়ে যেতে পারেন না।

স্থানীয় এলাকাবাসীর তোপের মুখে থেকে বাঁচতে মুঠো ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো মশিউর রহমান ।এছাড়া প্রধান শিক্ষক মো মশিউর রহমান বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি