বাস ধর্মঘট ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সুনামগঞ্জ থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী সিলেটের মহাসমাবেশে যোগদান করছেন।
জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগদান ঠেকাতে জেলা শহরের প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার জোর করে পরিবহন শ্রমিক মালিকদের বাধ্য করেছে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ করতে।
জেলা কৃষকদলের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, গত রাতে থেকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আজ (শুক্রবার) দুপুরের জনস্রোতের তোড়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি।
জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে নৌকায়, মোটরসাইকেলে, হেঁটে হাজার হাজার নেতাকর্মী সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থান নিয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গ্যাস পাম্প বন্ধ রেখে সরকার গাড়িতে গ্যাস ভরতে দিচ্ছে না।
দোয়াবাজার উপজেলার যাত্রী সালমা খাতুন বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। এভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মানুষকে আরও বিপদে ফেলা হয়েছে।
দিরাইয়ের আবুল হোসেন বলেন, বাস চলাচল বন্ধের কারণে ভাড়া দ্বিগুণ তিন গুণ হয়েছে। মানুষ কয়েক বার ওঠানামা করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। গোবিনপুর গ্রামের সালু মিয়া বলেন, একে তো মহাসমাবেশ, অন্যদিকে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধের কারণে সরকার ও পরিবহন শ্রমিক মালিক রা তাদের প্রতি অন্যায় করেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ এখন ছাত্রলীগের ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিটি পয়েন্টে প্রতিটি রাস্তায় পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে। শহরে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবস্থান নিয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের শান্তি নষ্ট করলে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।