চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বালুবোঝাই ড্রেজারডুবির ঘটনায় আট শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মীরসরাই উপজেলার শায়েরখালী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনে বসুন্ধরা গ্রুপের তিন নম্বর জেটি সংলগ্ন সাগরে ড্রেজারটি ডুবে যায়।
মারা যাওয়া শ্রমিকরা হলেন: ইমাম মোল্লা, মাহমুদ মোল্লা, শাহীন মোল্লা, আল আমিন, মো. তারেক ও বাশার। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি। তবে ড্রেজারটি থেকে এক শ্রমিক তীরে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ওই শ্রমিকদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী এলাকায়।
ড্রেজারটি থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউ ওঠায় সৈকত-২ নামে তাদের ড্রেজারটি মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারটির মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি ৮ শ্রমিক আটকা পড়েন।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পরপরই অন্য শ্রমিকেরা নৌকা নিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন তারা ভেতরে আটকা পড়া শ্রমিকদের মৃত অবস্থায় দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।