ভারতের সঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে বলা হয়েছে, প্রাণসহ দেশের ১০ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ভারতের ১০ প্রতিষ্ঠানের সিইওকে নিয়ে এই ফোরাম গঠন করা হবে।
এ প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে ভারত সরকার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গত ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পিয়ুশ গয়ালের নেতৃত্বে দুদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম একটা সিইও ফোরাম করার বিষয়ে। আমাদের দেশের ১০টি বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং তাদের দেশের ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইও নিয়ে এটি করা যেতে পারে।’
‘যেমন: আমাদের দেশে প্রাণ, এফবিসিসিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান আছে, সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারা (ভারত) বলছে, তাদের নামগুলো সিলেক্ট করতে একটু দেরি হচ্ছে, তারপরও তারা আশাবাদী এই দশটি নাম দিলে দুই দেশের ১০টি করে প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিয়ে ফোরাম গঠিত হবে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ইস্যুতে তারা আলোচনা করবেন। সরকারকে তারা আলোচনা করে কোনো পরামর্শ থাকলে দেবেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সইয়ের লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।
বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরাম পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান, বিভিন্ন ধরনের শুল্ক/অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ, ভারতের পক্ষ থেকে করোনার কারণে বন্ধ থাকা বর্ডার হাটগুলো ফের চালু করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সেগুলো চালুর কার্যক্রম এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।