কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৭ মাসের শিশু হত্যার দায়ে কল্পনা বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান আসামির উপস্থিতিকে এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কল্পনা আক্তার ভৈরব উপজেলার সম্ভুপুর বড়কান্দা গ্রামের মেরাজ মিয়ার স্ত্রী।
কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ ইমাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই দুপুরে সাত মাস বয়সী ছেলে নুরুন্নবীকে বসতঘরে ঘুমে রেখে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায় মা শিল্পী বেগম। বাড়ি ফিরে শিশুকে ঘরে পাওয়া যায়নি। ঘটনার তিনদিন পর ২৪ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে ময়লার স্তূপে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে প্রতিবেশী কল্পনা বেগম ও তার ছেলে নাহিদ মিয়াকে আসামি করে ২০১৮ সালে ১৪ জানুয়ারি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শিশু নুরুন্নবীকে চুরি করে বিক্রি করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে যান কল্পনা বেগম।
পুলিশ ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি কল্পনা বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। একই সালের ৬ জুন কল্পনা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..