1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে চাষিদের অনীহা | Bastob Chitro24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে চাষিদের অনীহা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাজশাহীতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে হাটে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেশিতে ধান বিক্রি করছেন চাষিরা। এতে সরকারি গুদামে আমন মৌসুমের ধান বিক্রিতে আগ্রহী নন তারা।

রাজশাহীতে গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সরকারের ধান চাল সংগ্রহ অভিযান। চলবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে আড়াই মাস পার হলেও কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারেনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদফতর।

কৃষকদের দাবি সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে হাটে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেশি পাচ্ছেন। এ জন্য সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহী নন তারা।

কৃষকরা বলেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলে লোকসান হচ্ছে। তবে বাইরে বিক্রি করলে মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এতে খরচ ওঠার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন তারা।

এদিকে চাল সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক। তবে মিলাররা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দরে ধান কেনায় খরচ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

মিলাররা জানান, ধানের দাম অনেক বেশি। এতে ধান কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কার পাশাপাশি আপদকালীন সময় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মত কৃষি গবেষকের।

কৃষি গবেষক মো. জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ বলেন, ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আপদকালীন সময়ে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ধান চালের দাম বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখনও আশাবাদী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী বলেন, কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রিতে সাড়া দিচ্ছে না। তবে আন্তঃজেলা ও বিভাগ সমন্বয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জেলায় ৬ হাজার ৩৩ টনের বিপরীতে এখন পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৩ হাজার ৪১ টন। আর ৫ হাজার ২২৪ টনের বিপরীতে সরকারি গুদামে জমা হয়নি কোনো ধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি