সব বাধা পেরিয়ে উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। অথচ মিরর গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেই অনুষ্ঠান বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করেছিল। উইমেন লিডারশিপের অভিযোগ, হুমকি দিয়ে টাকা নেয়ার পরও থেমে নেই মিরর গ্রুপ। অ্যাওয়ার্ড দেয়ার নামে প্রতিষ্ঠানটি অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে টাকাও। প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে মিরর গ্রুপের কর্ণধার শাহজাহান ভূইয়া রাজুকে।
ইসরাত জাহান মারিয়া উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের কর্ণধার। গ্লোবাল অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন ২০১৯ সাল থেকে। যেখানে নারী উদ্যোক্তা ও নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। তার এ অনুষ্ঠানে এবারের অতিথি ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। ১৮ নভেম্বর ঢাকায় আসছেন নোরা। কিন্তু ইসরাত জাহানের অভিযোগ অনুষ্ঠানটিকে বানচাল করতে শুরু থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছেন মিরর গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহজাহান ভূইয়া রাজু।
ইসরাত জাহান মারিয়া সময় সংবাদকে বলেন, শাহজাহান ভূইয়া রাজু বিভিন্ন ভ্যাট-কমিশন-এনবিআর এসব জায়গাতে অভিযোগ দিচ্ছে যে, আমি যে অনুষ্ঠানটি করতে যাচ্ছি তার জন্য ভ্যাট দেইনি। এ ধরনের কথা বলে অনুষ্ঠানটা বন্ধ করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মারিয়ার করা প্রতারণার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে রাজুকে। তিনি একবার নোরাকে ঢাকায় আনার জন্য চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি না পাওয়ায় সেই চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পরে মারিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয় নোরার। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি রাজু। তাই শুরু করেন ষড়যন্ত্র।
মারিয়ার দাবি প্রতারণামূলকভাবে একটি লিখিত চুক্তিপত্র সই করিয়ে নেন রাজু। পরে দাবি করেন টাকা। সেই টাকা দেয়ার পরেও হুমকি দিতে থাকেন রাজু।
পুলিশ বলছে, রাজু এরই মধ্যে অ্যাওয়ার্ড দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন। বিক্রি করেছেন টিকিটও।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো.হারুন অর রশীদ বলেন, এরই মধ্যে রাজু ৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন এবং ১০ লাখ টাকার চেক নিয়েছেন। পরে মারিয়া জানতে পারেন তার অনুষ্ঠানের নামে গোপনে টিকিট বিক্রি করছেন রাজু। বিজ্ঞাপন জোগাড় করছেন। এরপর মারিয়া অভিযোগ করলে রাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।