সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ১৯৫ হেক্টর জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১০টার মাঝামাঝি সময়ে এই উপজেলায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি দেখা দেয়।
এতে উপজেলার খাইহাওড়ে ১৩০ হেক্টর, কাউয়াজুড়ি হাওড়ে ৪০ হেক্টর, সাংহাই হাওড়ে ১০ হেক্টর এবং পাখিমারা হাওড়ে ১৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিলাবৃষ্টিতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও খালপাড় বাবনগাঁও ধরমপুর গ্রামের সাড়ে ৭০০ কৃষকের জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টির পরে সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত হাওড় এলাকার ক্ষেত পরিদর্শন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোমসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
ধরমপুর গ্রামের কালামন জানান, তিনি ৬০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
খালপাড় গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, ধান ক্ষেতে মাত্রই ফুল এসেছে, এ সময় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরও কয়েকদিন পরে বুঝতে পারবো ধানের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
বাবনগাঁও গ্রামের জিতু মিয়া বলেন, ব্যাপকভাবে জমিতে শিল পড়েছে। এতে ধান গাছের ফুল ঝরে পড়েছে।
সিপাউর রহমান জানান, শিলাবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায় না। কয়েকদিন গেলে দেখা যাবে ক্ষতিগ্রস্ত ধানের চারা মরে লাল হয়ে যাচ্ছে।
পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির রহমান শওকত বলেন, রোববার রাতের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন যাওয়ার পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হাওড় পরিদর্শন করে কৃষকের সংগে কথা বলেছেন। কৃষকরা জানিয়েছে রোববার রাতের শিলাবৃষ্টি ওই সব গ্রামের হাওড়ের উপর পড়েছে। যাদের জমির চারাগাছে ধান এসেছে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। হাওরের ফসল ঘরে তোলার পুরো সময় পর্যন্ত কৃষকদের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সহায়তা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।