রাজবাড়ীর পাংশায় মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের সরদার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ওয়ালিদ পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার মো. আজিজুল মণ্ডলের ছেলে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেলস সুপারভাইজার দোলন চক্রবর্তী গত ১৬ অক্টোবর ১০ লাখ টাকা নিয়ে রাজবাড়ী শহর থেকে পাংশা শহরে আসছিলেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি পাংশা কলেজ মোড় এলাকায় পৌঁছালে তিন ছিনতাইকারী একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তার গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ধরে টানাটানি করেন ও কিল-ঘুষিও মারেন।
এ সময় সেলস সুপারভাইজার দোলন চক্রবর্তী বলেন, তোমাদের আমি চিনি, তোমরা আমার সঙ্গে এই রকম কেন করছো- তখন ছিনতাইকারীরা ধারালো চাকু দিয়ে তার বাম হাতের কব্জির ওপরে ও বুকের মাঝখানে কোপ মেরে জখম করে ১০ লাখ টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।
সেসময় পাংশা থেকে রাজবাড়ীগামী একটি মাইক্রোবাস যাত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায়।
এ সময় টাকাভর্তি ব্যাগটি ঘটনাস্থলে ফেলে দ্রুত ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টাকাভর্তি ব্যাগটি উদ্ধার করে ও ভুক্তভোগী দোলন চক্রবর্তীকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় দোলন চক্রবর্তী বাদী হয়ে ১৮ অক্টোবর পাংশা থানায় তিন ছিনতাইকারীর নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাংশা শহরের সরদার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ছিনতাইকারী মো. খালিদ বিন ওয়ালিদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত টিভিএস অ্যাপাসি মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এ জাতীয় আরো খবর..