রাজধানীতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডাকে সঙ্গী করে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে স্কুলে ছোটে শিক্ষার্থীরা। তেমনি অফিস ছোটেন কর্মব্যস্ত নগরবাসী। শীতের তীব্রতায় নাকাল হতে হয় বাইরে বের হওয়া অধিকাংশকেই।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সময় সংবাদকে আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ছানাউল হক মণ্ডল জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেও আগামী দুই একদিন কুয়াশার আধিক্য থাকবে।
শীতার্ত নগরে গোমড়া মুখে সূর্যের উঁকি দেয় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। আগেরদিন পুরোটা সময় লুকিয়ে থাকলেও ঘড়ির কাটায় ১০টা বাজতেই হাজির হয় দিনপতি। তবে ছিল না স্বভাবসুলভ তেজ কিংবা প্রখরতা। তবুও কিছু সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে ফেরে কিছুটা প্রশান্তি। কিছুটা উষ্ণতাও।
এর আগে ভোরে একাধিক গরম কাপড়, হাত মোজা ও কানটুপি মুখে মাস্ক পরে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন মানুষ। তবুও যেন শীতকে হার মানানো দায় হয়ে পড়ে তাদের। কুয়াশা আর হিমেল বাতাস সব প্রতিবন্ধকতাকে ভেদ করে নিমিষেই।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ভোর থেকেই কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। সময় গড়ায়, রাস্তায় বাড়ে মানুষ। বাড়ে যানবাহন। তবুও শীতের জড়তা ভেঙে ঘর থেকে বাইরে পা দিয়েই বিপাকে পড়তে হয় কর্মজীবীদের। ঠান্ডায় যেন জমে যাওয়ার অবস্থা হয় তাদের।
শীতের অনুভূতি প্রথম প্রথম অনেকের মনে আনন্দ বয়ে আনলেও টানা শীতে সেসব মানুষও এখন নাজেহাল। তবে একটানা এই শহুরে শীতে বাইকাররা পড়েন সব থেকে বিপদে। এ ছাড়া খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি নতুন করে বলার কিছু নেই। রিকশাওয়ালাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
ঘন কুয়াশার আধিপত্যে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীতের এমন অনুভূতি বলে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ছানাউল হক মণ্ডল। রাজধানীতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানান তিনি।