বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাই মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। প্রস্তুত রয়েছে ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) রোববার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এতে কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ কমে কিছুটা শীতের দেখা দিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, নিম্নচাপটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংকেত বাড়লে সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলবাসীকে সতর্ক করা হবে। নিম্নচাপটি বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং এখানে থেকে শক্তি সঞ্চয় করছে বলেও জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ বলেন, আমরাও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখনো বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলছে, মোংলা বন্দরে জেটি ও বহির্নোঙরে ১৩টি পণ্যবাহী জাহাজ অবস্থান করছে। তিন নম্বর সংকেত পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। সিগন্যাল বাড়লে প্রয়োজনীয় সতর্ক অবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে নিম্নচাপ থাকলেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের’ আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
মোংলা বন্দর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান বলেন, পৌরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থেকে পরবর্তী সংকেত হলে তারপর দুর্বল বাড়িঘরের বাসিন্দাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী উঁচু পাকা ভবনে আশ্রয় নেওয়ার আগাম পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত ও সিপিবি সেচ্ছাসেবকসহ জিও এনজিও বিভিন্ন সংগঠনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে এখনও তেমন কোনো অবস্থা বিরাজ করেনি।
এদিকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়িগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
অন্যদিকে, মোংলা কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় তাদের নৌযানসহ সব সদস্যদের নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ জাতীয় আরো খবর..