ঝালকাঠির রাজাপুরে মায়ের গলায় চাকু ধরে দশম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আলী হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আলী হোসেন উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের প্রয়াত আনেচ মোল্লার ছেলে। তার অপর সহযোগী আসামি মো. ফুহাত মীর (২২) পলাতক রয়েছেন। ফুহাত উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মো. শাহ আলম মীরার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় একই এলাকার আলী প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। এ সময় আলীর সঙ্গে তার সহযোগী ফুহাত থাকতেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর কয়েক দিন ভুক্তভোগীর বাড়িসহ ওই এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিল। গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে আলী ও ফুহাত ভুক্তভোগী পরিবারের বসতঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ধারালো চাকু মায়ের গলায় ধরে ভয় দেখিয়ে তার কিশোরী মেয়ের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে আলী হোসেন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ফুহাত ছাত্রীর মাকে পাহারা দিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করেন।
ধর্ষণ শেষে টর্চলাইটের আলোতে অভিযুক্তরা তাদের চেহারা দেখিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলে যান। সকালে ভুক্তভোগী পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে আলী হোসেন ও ফুহাতের ভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী পরিবার এলাকায় এসে মঙ্গলবার রাতে আলী হোসেন ও তার সহযোগী ফুহাতকে আসামি করে মামলা করে।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে বুধবার (১৬ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।